বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শার গাতিপাড়া মাধ্যমিক স্কুলে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহের অভিযোগ উঠেছে। করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারনে শার্শায় বাল্য বিবাহে বৃদ্ধির কারন বলে সচেতন মহলের ধারনা। যে কারনে শার্শার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে। সরকারী আইন অমান্য করে বাল্য বিবাহ হলেও প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কোন ভুমিকাই রাখেন না।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর শার্শার গাতিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর এক মেধাবী শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে। অভিযোগে জানাগেছে, স্কুল বন্ধ থাকার কারনে শিক্ষার্থীর পিতা মাতা তাদের শিশু মেয়েকে বিবাহ দিচ্ছে। যেটা সরকারী আইনে অপরাধ হলেও.এমন অপরাধ শার্শার বিভিন্ন এলাকায় বেড়েই চলেছে।
অভিযোগে জানা যায়, শার্শার গাতিপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমান তার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া শিশু মেয়েকে বেড়ি নারানপুর গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম (২৮) এর সাথে বাল্য বিবাহ দেয়। বিষয়টি অন্যায় দেখে আমিনূরের বড় জামাই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর.লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন তার শ্বশুর ও শাশুড়ি তার শিশু শালীকাকে বাল্য বিবাহ দিয়ে অন্যায় করেছে। তিনি এ ব্যাল্য বিবাহের অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামারুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তার স্কুলে কোন শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহের বিষয়ে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা জানান, অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।